সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
মুসলমান জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় দিন ঈদুল ফিতর আসন্ন।ঈদকে ঘিরে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের মানুষের আগ্রহ কমতি নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে কার না ভালো লাগে ! কিন্তু এবার বিষয় ভিন্ন। বাংলাদেশে হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। দীর্ঘ দেড়মাস লক ডাউন পাল্টে দিয়েছে অর্থনৈতিক অবস্থার ধরণ। কিন্তু ঈদকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ব্যবসায়ীদের আবেদন মঞ্জুর করে প্রধানমন্ত্রী মার্কেটগুলোকে সীমিত আকারে খোলার নির্দেশনা দেন।সেই ধারাবাহিকতায়
১০ মে সীতাকুণ্ডে সকল মার্কেট খোলার নির্দেশনা আসায় আনন্দিত হোন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সীতাকুণ্ড উপজেলায় করোনার ভয়াল থাবায় পাল্টে দিয়েছে জিবন যাত্রা।হু হু করে সীতাকুণ্ডে বাড়তে থাকলো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সীতাকুন্ড পৌরসদরে ও ধরা পড়ছে করোনা পজিটিভ।
এই বিষয়ে সীতাকুণ্ড পৌর সদর দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক ১০ মে একদিন আগেই দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেন। সীতাকুন্ডের সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণ কামনায় তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়।কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দোকান বাদে অন্য দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।তবে করোনা চিত্রের কথা ভেবে সীতাকুণ্ডের ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল চিন্তা ভাবনা থাকবে না তা কি করে হয়। উৎসুক জনতার কথা ভেবে সীতাকুণ্ডে মার্কেট ব্যবসায়ীরা অনলাইনে কেনাকাটার ব্যবস্থা চালু করেছেন। অনলাইনে অর্ডার করলেই যত্ন সহকারে পণ্য পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়।এতে ব্যবসায়ী মহল যেমন খুশি তেমন ক্রেতাদের মনে আনন্দ বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে সীতাকুণ্ড বদিউল আলম নিউ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, যেহেতু করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাই আমাদের তা পালন করা উচিত। নিজের স্বার্থে দেশকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে দিতে পারি না।তাই সরাসরি অনলাইন কার্যক্রম আমরা বেঁচে নিয়েছি। এতে একদিকে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদিকে ক্রেতাদের বাসনা পূরণ হবে। নিজস্ব দোকানের নামে ফেসবুক পেইজে খুলে এই কার্যক্রম শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
সীতাকুন্ড পৌর সদর দোকান মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এক অনলাইন পত্রিকাকে জানান , ব্যবসায়ীরা আমাদের আপনজন বলে দোকানদার ও মালিকদের সিদ্বান্তের ভিত্তিতে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত হাতে নেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন পথ বেছে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা চালু হওয়ার কারণে গ্রাহক সেবা পাচ্ছে জনসাধারণ। ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতা উভয় লাভবান হবে বলে তিনি জানান।