মোঃ জয়নাল আবেদীন:
সম্প্রতি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও এবং তার পিতা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে তাদের জখম করা হয়েছে। বাঁচা মরার লড়াইয়ে এখনো নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছেন ওয়াহিদা খানম(ইউএনও)।
সরকারী বাসভবনে গুরুত্বর ভাবে আহত হওয়ার খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন বাংলাদেশের জনসাধারণ ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। নাগরিক ভাবনা থেকে তারা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
জনমমনে প্রশ্ন একটি উপজেলায় যিনি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।বিপদে সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন।যে কোন অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তার নিরাপত্তা কোথায় ?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে দেওয়া একটি চিঠিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় আনসার বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়।এই নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চট্রগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয় থেকে চট্রগ্রামের ১৫ জন ইউএনও এর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৬০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একজন নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য চারজন করে আনসার সদস্য রয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর (২০২০) শুক্রবার রাত দশটার সময় সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রয়ের বাসভবন ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ০৪ জন সশস্ত্র আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষিকা কাজি সাহেরা সীতাকুণ্ড বার্তা কে বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রয়ের বাসভবন ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে উপজেলা আনসার ভিডিপির পক্ষ থেকে চারজন সশস্ত্র আনসার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিতে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আগামীতেও সুনামের সহিত বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি সদস্যরা শান্তি , শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তা মন্ত্রে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে।
এই বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসভবন ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৪ জন আনসার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।চারজন ‘ই হলেন সশস্ত্র আনসার বাহিনীর সদস্য।