সীতাকুণ্ডে সুভাস ছড়াচ্ছে স্বর্ণালী আমের মুকুল
সীতাকুণ্ড বার্তা প্রতিনিধি
মুকুলে সেজেছে পুরো সীতাকুণ্ড । প্রকৃতির এই অপরুপ সাজে আম গাছের মুকুলে মূগ্ধ চাষীরা। ফাগুনের ছোয়ায় ফুলে ফুলে রঙ্গিন সাজে সেজেছে পলাশ-শিমুলের গাছ। সেই সাথে সীতাকুণ্ডে প্রতিটি এলাকায় প্রাকৃতিক বর্ণিল সাজে আমের মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে আম গাছগুলো। ঋতুরাজ বসন্ত আগাম জানান দিচ্ছে মধুমাসের উপস্থিতি। মুকুলে মুকুলে নতুনভাবে সেজেছে উপজেলার বিভিন্ন আমের বাগান আর শোভা ছড়াচ্ছে স্বমহিমায়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বাগান মালিক ও আম চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বড় ধরণের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন আশা করা যায়। আমচাষী ও আম বাগান মালিকেরা বাগানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সীতাকুণ্ডের বাগান মালিকরা ও আমগাছের মালিকরা সীতাকুণ্ড বার্তা প্রতিনিধিকে জানান- গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই বাগান ও গাছের পরিচর্যা শুরু হয়েছে। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুঁটি বাঁধার সময় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
সীতাকুণ্ডে বেশির ভাগ বাগানেই সুমিষ্ট আম্রপলি জাতের আম বাগানই বেশী। কিছু কিছু বাগানে আম্রপলি জাতের সাথে ফজলি, রূপালী, আশ্বিনা জাতের আম চাষ করেছেন অনেকে। সুফলও পেয়েছেন তারা। পরবর্তী সময় তাদের সফলতা দেখে ব্যক্তি উদ্যোগে নিজেরাই চারা উৎপাদন শুরু করেন এই অঞ্চলের মানুষ। তাদের অধিকাংশই আম ও লিচুর বাগান তৈরি করেন। সীতাকুণ্ডে উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় ও বিভিন্ন শহরে পাহাড়ের আমের চাহিদা থাকায়, আম চাষিরা তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাত-দিন।
বড় ধরণের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অনেক বেশী আম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।