চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জুতার ভিতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১৬টি স্বর্ণের বারসহ সুজন কান্তি দাশ (৩৮) নামে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কুমিরা এলাকাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুজন কান্তি দাশ সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউপির ৯নম্বর ওয়ার্ড উত্তর ঢেমশা গ্রামের মৃত নরেশ চন্দ্র দাশের ছেলে। এ বিষয়ে শনিবার গভীর রাতে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর আনুমানিক পৌনে ১টায় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানকারী চক্রের এক সদস্য বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ নিয়ে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রামের দামপাড়া থেকে ঢাকা অভিমুখে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড় কুমিরাস্থ কিং অব কুমিরা কনভেনশন হলের সামনে অবস্থান নিয়ে চেকপোস্ট স্থাপন করেন।
পরে বাসটি ওই এলাকায় এসে পৌঁছালে তারা সেটিকে থামার সংকেত দেন। বাসটি থামলে পূর্বের তথ্য অনুযায়ী তারা বাসের জে-৪ সিটে বসা যাত্রীকে তল্লাশি শুরু করলে এক পর্যায়ে সে স্বর্ণ রাখার কথা স্বীকার করে দেখিয়ে দিলে তার দুই পায়ের জুতার ভেতরে বিশেষ কায়দায় রাখা মোট ১৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বারের ওজন ১৮৬৬.১৬০ গ্রাম এবং দাম ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা করে মোট এক কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মামলায় ডিবি চট্টগ্রামের ওসি নুর আহমদ আরো জানান, ধরা পড়া পড়ার পর আসামি সুজন দাশ স্বীকার করেন যে এসব স্বর্ণ বিদেশ থেকে আমদানি করলেও এর বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। অবৈধভাবে আমদানি করা এসব স্বর্ণ অধিক মূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে এত স্বর্ণ আমদানি করায় রবিবার রাতে এ বিষয়ে তিনি সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জেলা বিশেষ শাখা (ডিবি)-এর ওসি নুর আহমদ এবং এসআই তাজুল ইসলাম জানান, স্বর্ণগুলো আটকের পর সেগুলো আসল কিনা এবং এর কোনো কাগজপত্র আছে কিনা তা যাচাই করতে বেশ কিছু সময় লেগে যাওয়ায় শনিবার গভীর রাতে তারা আসামিকে থানায় নিয়ে এসে মামলা দায়ের করেন।