চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত অগ্নিবীরদের স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগুন লাগলে বা কোন দুর্ঘটনা বা ভূমিকম্প বা কোন কিছু ঘটলে অথবা কোন ভবন ধসে গেলে ফায়ার সার্ভিসই সকলের আগে ছুটে যায়। এমনকি কোন জাহাজ বা লঞ্চ যখন দুর্ঘটনায় পড়ে তখনও এই ফায়ার সার্ভিসকেই আমরা পাই। তাই তাদেরকে আরো যুগোপযোগী করা একান্ত প্রয়োজন। আর সেই পদক্ষেপই আমরা নিয়েছি। এর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সেবার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারণে বিভিন্ন পদক্ষেপও আমরা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ সক্ষমতার উচ্চ ক্ষমতার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে যাতে রূপান্তরিত হয় সেই ব্যবস্থাই আমরা গ্রহণ করেছি। প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠার যে ঘোষণা আমরা দিয়েছিলাম তা এখন শেষ পর্যায়ে। যারা এই কাজে সম্পৃক্ত তারা যেন উন্নত মানের প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পান সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমী প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছি।’
গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সবগুলো ইউনিট চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় রাতে সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে অগ্নি নির্বাপক গাড়ি পাঠাতে অনুরোধ করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রায় ৮৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। পুরো দুর্ঘটনায় ১৩ জন ফায়ার ফাইটারসহ মোট ৪৯ জন নিহত হন। আত্মত্যাগের এ ঘটনায় সরকারিভাবে এ ১৩ জনকে ‘অগ্নিবীর’ খেতাব দেওয়া হয়।
তারা হলেন লিডার নিপন চাকমা, লিডার মিঠু দেওয়ান, লিডার মো. এমরান হোসেন মজুমদার, ফায়ার ফাইটার মো. রানা মিয়া, ফায়ার ফাইটার মো. আলাউদ্দিন, ফায়ার ফাইটার মো. সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফায়ার ফাইটার মো. গাউসুল আজম ও নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মো. মনিরুজ্জামানসহ আরও পাঁচজন।