সৌদি আরবের দেওয়া বিভিন্ন শর্ত কিছু হজ এজেন্সি মালিক পূরণ করতে না পারায় এখনো ভিসা পাননি ৪৪ হাজার ২৬৮ হজযাত্রী। ফলে প্রতিদিনই খালি সিট নিয়ে ছাড়তে হচ্ছে বিমানের ফ্লাইট। বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট। ফলে শেষ মুহূর্তে হাজীদের সৌদি আরব যেতে ফ্লাইট বিপর্যয় হতে পারে এমন সংখ্যা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। হজ এজেন্সিদের সংগঠন হাব ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (৩১ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যারা হজে যাবেন তাদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সৌদি আরবে অতি দ্রুত ভিসা লজমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।
জানা গেছে, সৌদি আরবের ভিসা পাওয়ার জন্য যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, অনেক এজেন্সি সেসব শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হজযাত্রীদের ভিসা মিলছে না। এর মধ্যে রয়েছে– সৌদি আরবে হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, ফ্লাইটের টিকিট, প্রবেশ ও বের হওয়ার রুট এবং আসা-যাওয়ার তারিখ নিশ্চিত করা। তবেই সৌদি দূতাবাস ভিসা দেয়।
এদিকে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তওফিক আল-রাবিয়াহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে বার্তা পাঠিয়েছেন। এরপর হজ এজেন্সিগুলোকে দ্রুত হাজীদের ভিসা করানোর জন্য তাগিদ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ বছর হজ পালন করতে যাবেন ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন বাংলাদেশি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৮ হাজার ২৯০ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম।