নোমান আল মাহমুদ।
নোমান আল মাহমুদ। ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত আওয়ামী পরিবারের সাথে। কলেজ ছাত্রলীগ থেকে নগর ছাত্রলীগ, নগর যুবলীগ থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ — এমন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নগর আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদকের। দীর্ঘ এই রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক জীবনে তার নামে বর্তমান অতীতের কোন মামলা নেই। সাপ্লাই ব্যবসা থেকে তাঁর বছরে আয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
ব্যবসায়ী নোমান আল মাহমুদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ। বছরে আয় সাড়ে চার লাখ টাকা। নগদ অর্থ, ব্যাংক জমা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক একচেঞ্জ মিলিয়ে তার রয়েছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৬৬২ টাকা। এছাড়া দেড় লাখ টাকার ১০ ভরি স্বর্ণ, টিভি-ফ্রিজ আসবাবপত্র মিলে আরও লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে নৌকার প্রার্থী নোমানের। ব্যবসায় মূলধন রয়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার নামে কোনো মামলা মোকদ্দমা নেই।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে আবাসিক-বাণিজ্যিক দালান, বাড়ি অ্যাপার্টমেন্ট, কৃষি-অকৃষি জমি কিছুই নেই নোমান আল মাহমুদের। তবে উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া স্বামী-স্ত্রীর যৌথ মালিকানায় ১.২১ শতাংশ অকৃষি জমি, ৩৮২ বর্গফুটের এজমালি সম্পদ রয়েছে। স্ত্রী শামীমা আক্তারের নামে রয়েছে ৫০ লাখ টাকার স্থায়ী বিনিয়োগ ও ৩১৫ বর্গফুটের একটি এজমালি ভিটিভূমি। নগদ ও ব্যাংক জমা মিলিয়ে ২৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকার বিপরীতে ব্যাংকে শামীমার দেনা রয়েছে ৪০ লাখ টাকা।
সোমবার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামাসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, নোমান আল মাহমুদের নিজ নামে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯২ টাকার নগদ অর্থ ও ব্যাংকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা রয়েছে। অন্যদিকে স্ত্রীর নামে নগদ ২০ লাখ ১৬ হাজার ৪১৪ টাকা ও ব্যাংকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জমা আছে।
কাপাসগোলাস্থ নেম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নোমান আল মাহমুদ আয় দেখিয়েছেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার বাবদ তাঁর রয়েছে ৬০ হাজার টাকা। বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে স্ত্রীর নামে স্থায়ী আমানত হিসেবে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। স্ত্রীর ১০ ভরি গয়না বাবদ মূল্য দেখিয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। টিভি, ফ্রিজসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য বাবদ ৫০ হাজার, খাট ও আলমিরাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র বাবদ ৫০ হাজার এবং ব্যবসার অন্যান্য মূলধন বাবদ ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা রয়েছে।
অন্যদিকে স্থাবর সম্পদ বলতে স্ত্রীর নামে ৩১৫ বর্গফুটের ভিটিভূমি, উত্তরাধিকার সূত্রে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ জায়গা ও অন্যান্য সম্পদ বাবদ যৌথ মালিকানার ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৯৭ টাকা মূল্যের ৩৮২ বর্গফুট ভূমি রয়েছে। তাছাড়া দায় বলতে স্ত্রীর নামে ৪০ লাখ টাকার ব্যাংক লোন রয়েছে।