যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টার টাইলার পেরি স্টুডিওতে বিভিন্ন দেশের সুন্দরীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘মিস ইউনিভার্স ২০১৯’-এর মূল আসর। এতে বিভিন্ন দেশের সেরা সুন্দরীদের সঙ্গে লাল-সবুজের হয়ে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করছেন বাংলাদেশের শিরিন আক্তার শিলা। সেই প্রতিযোগিতার বিভিন্নপর্বে নিজ দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরছেন সুন্দরীরা। পিছিয়ে নেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্বকারী শিলা। নিজের দেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে অভিনব ও ব্যতিক্রমী এক পোশাকে হাজির হয়েছেন শিলা।
এই প্রতিযোগিতার ‘মিস ইউনিভার্স ন্যাশনাল কস্টিউম’ নামের পর্বটিতে মাথায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রিকশার হুড পড়ে মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন শিলা। যা ছিল পুরো পর্বটির জন্য এক চমক ও দৃষ্টি কাড়ার মতো বিষয়। এদিন শিলার পরনে ছিল লাল জামদানি ও বাংলাদেশি গয়না। মাথায় ছাতা হিসেবে ছিল বাহারি রঙে সজ্জিত রিকশার হুড। আর এমন সজ্জা নিয়েই পর্বটির র্যাম্প আয়োজন হেঁটেছেন শিলা।
রিকশার হুড ব্যবহার ও এমন সাজ প্রসঙ্গে শিলা বলেন, ‘এই পর্বে র্যাম্প আয়োজনটি হয়েছে নিজের দেশ ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য। এখানে আমি আমাদের ঐতিহ্য জামদানি শাড়ি ও গয়না পরেছি। এগুলো দিয়ে কখনো পরিবেশ দূষিত হয় না। আর আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরতে রিকশার হুড ব্যবহার করেছি। সবুজ রিকশা পেইন্ট আর লাল শাড়িতে শহিদের রক্তে পাওয়া আমি আমার লাল-সবুজের দেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
রিকশার হুডটিতে কি ছিল এমন প্রশ্নে শিলা বলেন, ‘এখানে ছিল আমাদের ৪০০ বছরের বাঙালির ইতিহাস, সম্রাট আকবরের পঞ্জিকার ইতিহাস, পহেলা বৈশাখ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও আমাদের সংস্কৃতির নানা শক্তি।’
শুরু থেকেই চমত্কারভাবে লড়ে গিয়েছেন বাংলাদেশের শিলা। দেশ সেরা হলেও বিশ্বমঞ্চে জায়গা করতে পারেননি সেরা বিশেও। কিন্তু এতে মোটেও হতাশ নন তিনি। বিশ্ব মঞ্চে নিজের দেশকে উপস্থাপন করতে পেরেছেন বলে গর্ববোধ করছেন।
মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আগে শিরিন আক্তার শিলা ২০১৮ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিযোগিতায় তিনি সেরা দশ প্রতিযোগীর একজন হিসেবে ঘোষিত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ‘ফেস অব বাংলাদেশ ২০১৯’ প্রতিযোগিতায় সেরা নারী মডেলের খেতাব লাভ করেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ফেস অব এশিয়া প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন শিলা। পোশাক: জুরহেম।