সীতাকুণ্ডে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে ছয় পরিবারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ৫ পরিবারের সর্বমোট ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) বিকেল ২টায় উপজেলার পৌরসভাধীন পন্থিছিলা বাজারের পশ্চিম পাশের ছুট্রো সওদাগরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় নুর নবী জানান, আগুনে মো. আলমগীর হোসেন, আমির হোসেন প্রকাশ মনা মিয়া, নুর নবী ও মো. তারেক নামের চার ভাইয়ের বসত ঘরসহ মো. বেলাল ও নুর হোসেন নামের অপর দুই ব্যক্তির বসত ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আমির হোসেনের ঘরে থাকা মাংস সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ফ্রিজ ও নগদ ৮৪ হাজার টাকা পুড়ে যায়। নুর নবীর ঘরে থাকা ২০ হাজার টাকা ও সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ৫ পরিবারের সর্বমোট ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন।
আগুন লাগার খবর শুনে ঘটনাস্হলে পরিদর্শনে যাই সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজলে এলাহি পায়েল,
এই সময় সীতাকুণ্ড বার্তাকে সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম বলেন,ফ্যানের রেগুলেটরে শর্ট সার্কিট থেকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়।
পরে দ্রুত তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে,এবং তিনি আরো বলেন,আমাদের সীতাকুণ্ড পৌরসভার কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সকল ক্ষয়ক্ষতি লিখেছেন, আমরা আমাদের থেকে এবং সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য করব এবং তিনি স্হানীয়দের মাঝে এই ধরনের সকল কর্মকান্ড থেকে সতর্ক অবলম্বন করতে বলেন।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল বলেন, যিনি খবর দিয়েছেন তিনি আমাদের মহাসড়কের পূর্বপাশের মসজিদ গলির ঠিকানা দেয়। ফলে আমাদের গাড়ি প্রথমে উল্টোপথে সেখানে পৌঁছে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই আগুন মহাসড়কের পশ্চিম পাশের বাড়িতে লেগেছে। পরে তিন কিলোমিটার দূরে ইউটার্ন দিয়ে গাড়িকে ঘুরে আসতে হয়েছে। কোথাও আগুন লাগলে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সঠিক ঠিকানা দেওয়ার আহবান জানান তিনি।