সীতাকুন্ড বার্তা;
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ৯৫তম জন্মদিন আজ। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মৌলভী মো. ইয়াসিন খান ও মেহেরুননেসা খানের এই সন্তান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ বা মুজিবনগর সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সহধর্মিণী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন আমৃত্যু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন একজন সৎ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ। দেশের মানুষ তাকে ভালোবেসে ডাকতেন বঙ্গতাজ বলে।পাকহানাদারদের কাছ থেকে দেশ মুক্ত হলে ২২ ডিসেম্বর তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে এলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকা-২২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় বাজেট পেশ ও প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন তাজউদ্দীন আহমদ।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর আরো তিনজন জাতীয় নেতাসহ তাকে বন্দী করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। সেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঘাতকের বুলেটে নিহত হন তিনি।