চট্টগ্রাম নগরে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ চলার সময় জামালখান এলাকায় স্বাধীনতার ইতিহাস সম্বলিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল)।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়ে বিবৃতি দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, সমন্বয়ক (দপ্তর) প্রফেসর ড. কাজী এস. এম. খসরুল আলম কুদ্দুসী ও সমন্বয়ক (অর্থ) প্রফেসর ড. মো. আলী আজগর চৌধুরী।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, যুবদলের সমাবেশে যাওয়ার সময় তাদের উগ্র কর্মীদের এ ধরনের হামলা চরম ধৃষ্টতা ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি অসম্মান প্রদর্শন। যা পুরো জাতিকে হতভম্ব ও ব্যথিত করেছে। এ ধরনের হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। জাতির পিতার ম্যুরাল ভাংচুর কেবল স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ বিরোধীরাই করতে পারে। এ ধরনের হামলার মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিকৃত মনোবাসনাই প্রতিফলিত হয়েছে।
দোষীদের শাস্তি দাবি করে তাঁরা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক ও সফল নেতৃত্বে যখন দেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মর্যাদার আসনে সমাসীন এবং একটি গণতান্ত্রিক ও অবাধ নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। ঠিক সে সময়ে বিএনপি-যুবদলের বর্বরতম আচরণ গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্থ করার সামিল। এ ধরনের তৎপরতার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে দেশের উন্নয়নের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান সংগঠনটি।
এর আগে বুধবার(১৪ জুন) বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ির মোড়ে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সেই সমাবেশে যাবার পথে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বাকলিয়া থানা ছাত্রদল ও চান্দগাঁও থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর মিছিল নিয়ে সমাবেশের দিকে যাবার পথে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালসহ অন্তত ৫০টি চিত্রকর্ম ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।