————- বন্ধু তুহিন,
থিয়েটার কর্মী, শিক্ষক সিটি ইউনিভার্সিটি ঢাকা
আজ যখন ঈদ শুভেচ্ছা লিখছিলাম তখন আমার রুমমেট কাম অর্ধাঙ্গী বলল বাংলা একাডেমী নাকি বলে দিয়েছে ঈদ কিন্তু ঈদ নয় এখন লিখতে হবে ইদ। বানান আমার প্রায় ভুল হয় তারপরও ঈদের পরিবর্তে ইদ লিখবো? দেখতে কেমন জানি লাগে!!
একটা শিশু দুটো চোখ উঠে গেছে. আজ সে অন্ধকারে বন্ধ দুয়ারে বুঝে উঠছেনা সে কি করবে। মা সেতো সব মায়ের মতই ফ্যাল ফ্যাল তাকানো বাকরুদ্ধ। মৃত্যু এবং বেচে থাকার পার্থক্যটা বুঝতে বুঝতে আবার কান ফাটানো শব্দ । অধিপত্য বিস্তারের দানব গুলো যখন আকাশ থেকে ছুঁড়ে মারে আয়রন ডোম তখন পৃথিবীর বুক কি একবারও কাঁপেনা? আচ্ছা কেন কাঁপেনা? এদিকে মাথার খুলে বেড়িয়ে পরেছে মগজ। সাদা থক থকে মগজ . মানুষটার ব্রেন তখনও কি কাজ করছিল ? বলছিল কি আজ সুন্দর টক টকে একটা ঈদ? তারপরেও ফিলিস্তিনরা খোলা আকাশের নিচে শুদ্ধ আত্মায় স্মরণ করছেন পরম করুণাময়কে। নতজানু আমার অপারগ আত্মা তোমাদের কাছে..
এরপরও ঈদ আসে ঘরে ঘরে। এই নিষ্পাপ মানুষ গুলোরও ইচ্ছে করে আনন্দ করতে। মুখে ম্লান হাসির চেষ্টা আর চোখ দুটোতে দেখুন কেমন বিষণ্ণতা…
যে শিশুটি ঈদে রং তুলির জন্য বায়না করত সে শিশুটি সাফ করছে বাবা মা ভাইয়ের টকটকে রক্ত।
বৈশাখের বৃষ্টি না আগুন আর বারুদের বৃষ্টি… হায় ফিলিস্তিন!!
তারপরও যুবক মাথা উচু করে জানিয়ে দিতে চায় এটা আমার পৃথিবী এটা আমার
সৃষ্টি সুখে উল্লাসে
ঈদ আসুক আনন্দ নিয়ে… ভোর আসবেই।
লেখক: বন্ধু তুহিন
“ থিয়েটার কর্মী”
ছবি: রয়টার, বিবিসি, আলজাজিরা, এ এফ পি