সীতাকুণ্ডে এক যুবতীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা চাপা দিয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে নাম-পরিচয় পাল্টে টানা ৮ বছর পালিয়ে বেড়ান আব্দুর রহিম ওরফে মেরাইয়া (৪০) নামক এক আসামি। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না তার।
দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ানোর পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মাছবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রহিম উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদাবাদ (ঘাউয়াপাড়া) এলাকার আব্দুল বারেকের করা হয়। পুত্র।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকিব হাসান জানান, ২০১৫ সালে কমিরা বাজার এলাকায় রহিম তার দুই সঙ্গী মিলে এক মেয়েকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেন। এরপর তারা দেখিয়ে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করে ওই
মেয়েটিকে মাটির নিচে পুঁতে দেয়। ঘটনার কয়েকদিন পর মাটির নিচ থেকে নিহত মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা রবিউল হাসান বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আলাউদ্দিন, শাহাবুদ্দিন ও আব্দুর রহিমকে আসামি করা হয়। মামলার পরবর্তীতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান আব্দুর রহিম। পাড়ি জমান দেশের বাইরে। বিদেশ থেকে দেশে আসার পর তিনি কৌশলে জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম ও পিতার নাম পরিবর্তন করেন। এভাবে দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ানোর পর বুধবার মামলার বাদীর তথ্যানুযায়ী বাড়বকুণ্ড মাছ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। তাকে সে মামলায় গ্রেপ্তার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।