আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলতি ফার্সি বছরে ইরান ছাড়া অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার আয় করেছে। এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইরানের শিল্পমন্ত্রী হোসেইন মোদারেস খিয়াবনি।
প্রসঙ্গত, মার্কিন সরকার প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে ইরানকে যখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কোণঠাসা করে ফেলার চেষ্টা করছে তখন তেল-বহির্ভূত পণ্য রপ্তানি থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করলো।
হোসেইন মোদারেস খিয়াবনি বলেন, এটি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের জন্য একটি জাদুকরী ঘটনা।
ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ বুধবার এ খবর দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান। সেইসঙ্গে ওই বছরের নভেম্বর মাস থেকে ইরানের বিরুদ্ধে ভয়াবহ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
ইরানের শিল্পমন্ত্রী বলেন, তেল রপ্তানি খাত থেকে যে পরিমাণে অর্থ আয় হতো, তেল বহির্ভূত খাত থেকে প্রায় সেই পরিমাণ অর্থ আয় হচ্ছে এবং দেশের সরকারি কর্মকাণ্ড সবই প্রায় তেল বহির্ভূত খাতের আয় দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইরান অর্থনীতি ঠিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তেল বহির্ভূত খাতে দিন দিন আয় বাড়িয়েছে এবং বাড়াচ্ছে।