ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি।এ সময় ছাত্রদল ও বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ কর্মীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এর একপর্যায়ে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকালে সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকা ও বাড়বকুণ্ডে এসব ঘটনা ঘটে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিলে বিক্ষোভকারীরা সরে পড়ে।
জানা গেছে, ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা শহীদ হত্যার প্রতিবাদ ও দেশে জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এদিন তারা সীতাকুণ্ড পৌরসভার মুনষ্টার কমিউনিটি সেন্টারে সভা করতে অনুমতি চাইলে পুলিশ তাদেরকে অনুমতি দেয়নি।
পরে তারা পৌরসদর এলাকায় হাইস্কুল মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চায় সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। কিন্তু তিনিও সভা করার অনুমতি দেননি।
দুই দফা অনুমতি চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ডে সভা শুরু করে দেয় বিএনপি। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মো. সালাহ্উদ্দীন, পৌর বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন, সদস্য সচিব কাজী মো. মহিউদ্দীনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে প্রায় ৪টা পর্যন্ত
বিএনপির এই সভা চলে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে সেখানে অতিরিক্ত ফোর্সসহ সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা সড়কের পাশের বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে পড়ে।
এরপর বিকাল ৪টার দিকে পৌরসদর হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পৌরসভা গেটের সামনে দিয়ে ফেরার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া করলে তারাও দলবদ্ধ হয়ে পাল্টা ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অবস্থান করে। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়ার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, এদিন দুপুর থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পৌরসদরে অবস্থান নিতে চেয়েছিল। পুলিশের বাধায় এখানে তারা সমবেত হতে পারেনি। পরে উপজেলার বাড়বকুণ্ড মহাসড়কের উপর আধা ঘন্টার মতো বিক্ষোভ করে। এরপর পৌরসভার সামনে ছাত্রদলের একটি গ্রুপের সাথে পৌরসদরে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান,পৌরসভা এলাকায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে ছাত্রদল পিছু হটে। এরপর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেয়।