দুইদিন পর ডেঙ্গুতে দুই মৃতের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত পরশু (১৭ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪০ বছর বয়সী এক নারী ও দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। এরমধ্যে চলতি আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬ জন। একইসাথে ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮০ জন।
শনিবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মরিয়ম বেগম (৪০) নামের ওই নারী গত ১০ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ আগস্ট ‘হেমোরেজিক শক সিনড্রোমে’ মারা যান তিনি। এ নারী চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ির বাসিন্দা। ওইদিনই আবদুল্লাহ আতাহার আহমেদ নামে দুই বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে। আবদুল্লাহ আতাহার গত ২৮ জুলাই নগরের ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু ছাড়াও আরও কিছু জটিলতায় ভুগে ১৭ আগস্ট মারা যায় এ শিশু।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ৫২ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ২৮ জন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে শনাক্ত হন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৭ জন, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ১৯ জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে ২৫ জন, চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ২৯ জন এবং প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে ২৮ জন চিকিৎসাধীন।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫০৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে চট্টগ্রামের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ২২৮ রোগী চিকিৎসাধীন। এছাড়া ৪ হাজার ২৮০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এর আগে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২ হাজার ৩১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ৫৩ জন এবং জুন মাসে ২৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, চলতি বছর মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে শিশু-কিশোর মিলিয়ে ১৬ জন, ১১ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী আছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৩ জন, জুনে ৬ জন, জুলাইয়ে ১৬ জন এবং আগস্ট মাসের ১৯ দিনে ১৬ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চট্টগ্রামে ১৭ জন, ২০২১ সালে ২৭১ জন এবং ২০২২ সালে ৫ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২২ সালে ৪১ জন এবং ২০২১ সালে ৫ জন মারা গিয়েছিল।