চট্টগ্রামে বিএনপির জনসমাবেশে মহিলা দলের দুই গ্রুপের মধ্যে চুলোচুলির ঘটনায় চার নেত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (২১ মে) বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত চারজন হলেন— মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, চট্টগ্রাম নগর শাখার সহ-সভাপতি জেসমিনা খানম, আঁখি সুলতানা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ লিটা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল-কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সহ-সভাপতি জেসমিনা খানম, আঁখি সুলতানা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ লিটাকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক বহিষ্কার করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
এতে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত আজ (রবিবার) থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে, গত ১৯ মে বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি জনসমাবেশের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সমাবেশে নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির অনুসারীদের সঙ্গে পদবঞ্চিতদের এ হাতাহাতি হয়েছে। হাতাহাতি চলাকালে কয়েকজনের হাতে জুতা দেখা গেছে। পরে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দুলাল এসে দুই গ্রুপের হাতাহাতি থামান।
জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ পুরনো দুই নেতৃত্ব বহাল রেখে অর্থাৎ টানা তৃতীয়বারের মত মনোয়ার বেগম মনিকে সভাপতি ও জেলী চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নগর মহিলা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন নেতৃত্ব না আসার প্রতিবাদে জেসমিনা খানম, আঁখি সুলতানা ও দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটাসহ ১৩ জন পদত্যাগ করেন। ২৬ এপ্রিল এ চার নেত্রীর দলীয় পদ স্থগিত করে কেন্দ্র। এরপরও নগর মহিলা দলের কমিটির বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছিলেন তারা। সর্বশেষ গতকাল হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।