আদ্বান অর্চিশ, সীতাকুন্ড বার্তা;
করোনায় বিপদগ্রস্ত ভারত। অর্থনীতির অবস্থাও ভালো নয়। তার উপর চীনের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। সব মিলিয়ে খুব খারাপ অবস্থা।
ভারতের স্থলভাগের বর্ডারের সাথে সংযুক্ত আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, মায়ানমার ও ভুটান। কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে আগের মতো সুসম্পর্ক নেই।
একদিকে চীন, একদিকে পাকিস্তান আরেকদিকে নেপাল। তিন প্রতিবেশী দেশের উৎপাতে অতিষ্ঠ ভারত। চীন, পাকিস্তান ও নেপাল, তিন দেশই ভারতীয় সীমান্তে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। ওদিকে বিহারের লাগোয়া সীমান্তে নেপাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন সাধারণ এক গ্রামবাসী। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও তিনজন। চীন, নেপাল ও পাকিস্তানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার উৎপাত করে চলেছে ভুটান। তবে চীন ও নেপালের সঙ্গে ভারতের বিবাদের মাঝে ভুটানের কাণ্ড তেমন একটা প্রকাশ পায়নি। কিন্তু আড়ালে-আবডালে তারাও এবার ভারতীয় চাষিদের জল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
অসমের বাকসা জেলা দিয়ে প্রবাহিত চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতীয় কৃষকরা চাষের জন্য জল পেতেন। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছিল ওই সেচ চ্যানেল। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ডং। অসমের বাকসা জেলার অন্তর্গত ২৬টি গ্রামের বহু কৃষক ওই চ্যানেলের জলের উপর নির্ভরশীল। ১৯৫৩ সাল থেকে ওই চ্যানেল দিয়ে ভুটান থেকে জল প্রবাহিত হয়ে আসে। ওই এলাকার চাষিরা ওই জল চাষের কাজে ব্যবহার করেন। কিন্তু এবার ভুটান হঠাৎ করেই ওই চ্যানেলের প্রবাহ আটকে দিয়েছে। ফলে মহাসমস্যায় পড়েছেন বাকসা জেলার ২৬টি গ্রামের চাষিরা। চাষবাসের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভুটান সরকার অবশ্য কোনও কারণ উল্লেখ করেনি। কেন চ্যানেলের জলের প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে তা নিয়ে একটা কথাও বলছে না ভুটানের প্রশাসন। কিন্তু ইতিমধ্যে বাকসা জেলার চাষিদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ওই জেলার কৃষকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলের মাঝেও ভুটান সরকার কোনও কথা বলেনি। গত কয়েক দশক ধরে ওই এলাকায় চাষীদের জল দিয়ে আসছে ভুটান। তার জন্য ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ভারত। বাকসা জেলার প্রশাসন ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ব্যাপারটি নিয়ে আবেদন করেছে। কালিপুর, বোগাজুলি ও কালানদী অঞ্চলের ডং বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সমিতির ব্যানারে জেলার কৃষকরা নিজেদের বিক্ষোভ ও দাবির কথা লিখে তুলে ধরেছেন।
(আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তথ্য পর্যালোচনায় রচিত।)