ইউক্রেন ফেরত ২৮ নাবিকের মধ্যে চার নাবিক ফিরছেন চট্টগ্রামে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম ফেরার কথা রয়েছে তাদের। এরআগে বুধবার বেলা ১২ টার দিকে টার্কিশ এয়ারলাইনসের বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান তারা।
বুধবার (৯ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বেলা ১২ টায় টার্কিস এয়ারলাইন্সে করে ঢাকায় আসার পর সব নাবিকদের মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের নাবিকরা আজ সন্ধ্যা ৭টায় নভোএয়ার এয়ারলাইন্সে চট্টগ্রামে ফিরে যাবার কথা রয়েছে।
দেশের মাটিতে পা রাখলেন সেই ২৮ নাবিক
চার নাবিকের মধ্যে রয়েছেন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী উমর ফারুক (৩৫), চতুর্থ ইঞ্জিনিয়ার সালমান সরোয়ার সামি (২৬), ক্রু হোসাইন মোহাম্মদ রাকিব (২১), নাবিক মাসুম বিল্লাহ। এদের মধ্যে উমর ফারুকের বাড়ি সন্দ্বীপের সন্তোষপুর ইউনিয়নে ও রাকিবের বাড়ি গাছুয়া ইউনিয়নে। তবে ওমর ফারুক ঢাকায় এবং রাকিব থাকেন চট্টগ্রামের হালিশহর এ ব্লকে। এছাড়া ওই জাহাজের চতুর্থ ইঞ্জিনিয়ার সালমান সরোয়ার সামি (২৬) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ভাটিয়ারী গ্রামের বাসিন্দা এবং নাবিক মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ফেনীতে। তার বাবা ওবায়দুল হক পরিবার নিয়ে থাকেন নগরের কাটগড় এলাকায়।
এরআগে ইউক্রেনে আটকে পড়া জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্স করে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাত সোয়া ২টায় (রোমানীয় সময় সোয়া ১০টায়) দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তবে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার নিহত মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেনের অদূরে একটি বাংকারের ফ্রিজারে রাখা হয়েছে, সেটি সুবিধাজনক সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে।
গত রোববার (৬ মার্চ) সকালে রোমানিয়ার হোটেলে পৌছেছেন ২৮ নাবিক। তারা রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের একটি হোটেলে অবস্থান করেছিলেন।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরের নোঙ্গর করার পরদিনই দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে শুরু হলে এটি আটকে যায়। যুদ্ধের মধ্যে নাবিকরা জাহাজেই ছিলেন। গত বুধবার (২ মার্চ) একটি বোমা হামলায় জাহাজে থাকা থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা যান। এ ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জাহাজে আটকে পড়া বাকি ২৮ নাবিক ও ক্রু। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাগবোটের সাহায্যে তাদের তীরে আনা হয়। রাখা হয় ইউক্রেনের অলভিয়া এলাকার একটি বাংকারে। সেখান থেকে শনিবার পার্শ্ববর্তী দেশের দিকে রওনা দেন তারা। ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরের কাছে একটি বাংকার হয়ে রোমানিয়ার একটি হাসপাতালের ফ্রিজারে রাখা হয় ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ।