শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রান দরকার মিনিস্টার ঢাকার। দুই ছক্কায় ঢাকাকে জয় এনে দিয়েছেন শুভাগত হোম। বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাবে ৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় ঢাকা। মাত্র ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরষ্কার পেয়েছেন আরাফাত সানি।
ঢাকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নামাটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল খুলনা টাইগার্সের জন্য। মাত্র ১২ রান তুলতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া খুলনাকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দিলেন সিকান্দার রাজা। তার অর্ধশতকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে খুলনা টাইগার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৯ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সুবিচার করতে পারেননি দলের ব্যাটার। মাত্র ৩৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা।
৬ রানে ফ্লেচার, ১ রানে সৌম্য, ৫ রানে জাকের, শূন্যরানে ইয়াসির রাব্বি এবং ১২ রানে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। পরে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মেহেদি-সিকান্দার রাজা মিলে দলীয় স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৭ রান করে আউট হন শেখ মেহেদি হাসানও।
অন্যরা যাওয়া আসার মিছিলে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন সিকান্দার রাজা। উইকেটে টিকে থাকেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৫০ বলে ৬৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে খুলনাকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। দুর্দান্ত ইনিংসটি সিকান্দার সাজান ৫টি চার আর চারটি ছয়ে।
তার সঙ্গে শেষ দিকে থিসারা পেরেরা করেন ১২ আর রুয়েল মিয়া ৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করে খুলনা টাইগার্স।
ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি এবং আজমাতুল্লাহ ওমারজাই। একটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন, ফজলহক ফারুকি এবং কায়েস আহমেদ।
১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ইমরানুজ্জমান। ৬ রান করে ফেরেন তামিম ইকবালও। এরপর খেলার হাল ধরেন জহুরুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনে ৫৫ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। ৩৫ বলে ৩০ রান করে জহুরুল আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর শামসুর রহমানকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। তবে ৩২ রানের জুটি ভাঙে থিসারা পেরেরার শিকার হয়ে মাহমুদউল্লাহ ফিরলে। ৫ রান যোগ হতে ফেরেন আরেক সেট ব্যাটার শামসুর রহমান। আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ করেন ৩৬ বলে ৩৪ আর শামসুর রহমান ১৪ বলে ২৫ রানের ক্যামিও। তিনি যখন ফেরেন দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। এরপর শুভাগত-ওমরজাই এই রান নিয়ে নেন।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন থিসারা পেরেরা। ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ স্থানে। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে আছে দলটি। অন্যদিলে এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে খুলনার অবস্থান পঞ্চম স্থানে। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য পরবর্তী ম্যাচগুলতে তাদের জয়ের কোনো বিকল্প নেই।
আজ একগাদা পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে ঢাকা। শেষ ম্যাচ খেলা মাশরাফি বিন মর্তুজা, নাইম শেখ, মোহাম্মদ শাহজাদ ও এবাদত হোসেন চৌধুরীকে রাখা হয়নি দলে। তাদের জায়গায় খেলেছেন রুবেল হোসেন, শামসুর রহমান শুভ, জহুরুল ইসলাম অমি এবং আহমেদ ওমরজাই।
মিনিস্টার ঢাকা: তামিম ইকবাল, জহুরুল ইসলাম, শামসুর রহমান শুভ, ইমরানুজ্জামান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কাইস আহমেদ, ফজলহক ফারুকি, আরাফাত সানি, আহমেদ ওমরজাই, রুবেল হোসেন ও শুভাগত হোম।
খুলনা টাইগার্স: আন্দ্রে ফ্লেচার, মুশফিকুর রহিম, রনি তালুকদার, ইয়াসির আলি রাব্বি, থিসারা পেরেররা, সৌম্য সরকার, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, জাকের আলি অনিক, নাবিল সামাদ, সিকান্দার রাজা ও রুয়েল মিয়া