আদ্বান অর্চিশ, সীতাকুন্ড বার্তা;
শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্কদের আকাশেও উঁকি দেয় শাওয়ালের বাঁকা চাঁদ। বেজে উঠে উৎসবের আনন্দধ্বনী। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট একেবারে ভিন্ন। করোনা ভাইরাস পাল্টে দিয়েছে সেই চির চেনা আমেজ।
প্রতিমুহূর্তে নতুন সংক্রমণ, নতুন শংকা। প্রতিবছর সীতাকুণ্ডে ঈদের কেনাকাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম প্রস্তুতি থাকে তুঙ্গে। ঈদের আগের কয়েক রাত নির্ঘুম দোকানীরা বেচা-বিক্রিতে ব্যস্ত থাকলেও এবারের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ বিপরীত। চারিদিকে সুনসান নিরাবতা। সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে দোকান-মালিক সমিতি, সীতাকুন্ড পৌরসভা, সীতাকুণ্ড উপজেলা ও থানা প্রশাসন এর কর্মকর্তা- কর্মকারীগণ এবং সাংবাদিকবৃন্দ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমানে সীতাকুণ্ডে করোনা আাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ১৪ জন। সীতাকুণ্ডের পৌরপিতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব বদিউল আলম ঈদ পূর্ববর্তী এক সাক্ষাতকারে সীতাকুণ্ড বার্তাকে জানান,
” রমজান মাস শেষের পথে। এ মাসটি আমাদের শেখায় সংযমী হতে, নিজের কামনা, বাসনা ও আত্মকেন্দ্রিকতাকে বিসর্জন দিতে।”
তিনি আরো জানান,
” ১৯৭১ সালেও আমরা ঈদ করতে পারিনি, তাই বলে কি স্বাধীনতার পরবর্তী বছরগুলোতে আনন্দ কম ছিলো? তাই এই বছরের ঈদে হচ্ছেনা কোন জনসমাগম, বন্ধ থাকবে বিনোদনকেন্দ্র, চলাচল থাকবে সীমিত।”
সামনের বছরগুলোর আনন্দের জন্য এই বছরটাতে ঘরে অবস্থান করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আহবান ও সবাইকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানান।