গত ছয় মাসে চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের সাতটি সংসদীয় আসন ফাঁকা হয়েছে। এর মধ্যে গত এক মাসেই এমপিশূন্য হয়েছে পাঁচটি আসন। এসব আসনের মধ্যে পদত্যাগের কারণে একটি এবং বাকি ছয়টি সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শূন্য হয়েছে, তারা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলীয় চারজন সংসদ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) মারা যান যশোর-৬ ( কেশবপুর)আসনের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। এর দুদিন আগে গত ১৮ জানুয়ারি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান মারা যান।
গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসন থেকে পাঁচবারের এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেন মারা যান। এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের এমপি মো. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যু হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা-১০ আসনের এমপির পদ থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তার আসনটি নিয়ে বর্তমানে পাঁচটি সংসদীয় আসন শূন্য রয়েছে। এসব শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনের বিধান রয়েছে।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জোটের শরিক জাসদের (একাংশ) চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে তার আসনটি শূন্য হয়। সেখানে ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে জয় পেয়ে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন।
গত ১৮ আগস্ট ফরিদপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রুশেমা বেগমের মৃত্যুুতে আসনটি শূন্য হলে তা পূরণ করা হয়।