মাত্র এক কার্যদিবস কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও পুঁজিবাজারে বড়ো পতন হয়েছে গতকাল সোমবার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক দিনের ব্যবধানে প্রধান সূচক প্রায় ৮৯ পয়েন্ট কমে গেছে। ৩৫৪টি কোম্পানির মধ্যে ৩১৩টিরই দর কমেছে। ডিএসইর সূচক প্রায় সাড়ে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লক্ষ করা যাচ্ছে। শেয়ারবাজারে এমন বড়ো দরপতন গত সপ্তাহ জুড়েই ছিল। ফলে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকের ২৬১ পয়েন্ট পতন হয়। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার সূচকের সামান্য উত্থান হয়। কিন্তু পরদিন গতকাল সোমবারই পতন হলো। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেকে শেয়ারবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আবার যারা এখনো শেয়ারবাজারে আছেন, তাদের অনেকেই বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছেন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৫৪টি কোম্পানির ১১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৪টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৬ টাকা। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৮৮ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে ৪১২৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট, ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ২৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে ১৩৮৭ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২০ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৯২৯ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২১ টির, কমেছে ৩১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ার। এমন পতনের কবলে পড়ে ডিএসইএক্স ২০১৫ সালের ৭ মের পর সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে গেছে। সেই সঙ্গে সূচকটি প্রায় শুরুর কাছাকাছি চলে এসেছে। প্রতিদিনই পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত হয় সূচক ডিএসই-৩০। সে সময় এই সূচক ছিল ১ হাজার ৪৬০ পয়েন্ট। ধারাবাহিক দরপতনের কারণে সূচকটি এখন ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে নেমে গেছে।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, এডিএন টেলিকম, রিংসাইন, কেপিসিএল, বীকন ফার্মা, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, নরদার্ন জুট, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, গ্রামীণফোন ও এসএস স্টিল।
দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো এসএস স্টিল, এমারেল্ড অয়েল, মেঘনা কন্ডেন্সড মিল্ক, টুংহাই ইন্ডা., রিংসাইন, এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড, এফএএস ফাইন্যান্স, বীচ হ্যাচারী, প্রভাতি ইন্সু. ও সিএপিএম আইবিবিএল মি. ফা।