ঈদের দিন বিনোদন হিসেবে ফয়’স লেকের সী ওয়াল্ডকে পছন্দ অনেকের
ঈদের দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পার্ক, চিড়িয়াখানাসহ চট্টগ্রামের সকল বিনোদন কেন্দ্র। বিকাল থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেড়েই চলেছে নারী-শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ আনাগোনা।
শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের সকালে চট্টগ্রামের আকাশ পরিষ্কার থাকলেও গরমে তীব্রতা বেশি থাকায় ঈদের আনন্দে মধ্যে কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে নগরবাসীর। পরে বিকাল থেকে তাপমাত্রা নামতে থাকলে নগরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র লোকসমাগম দেখা যায়। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় খাঁচায় বন্দি বাঘ, সিংহ, হরিণ, জেব্রাসহ নানা প্রজাতির পশুপাখি দেখে মুগ্ধ হয়েছে দর্শনার্থীরা। প্রিয়জনদের সঙ্গে তুলেছেন ছবিও।
চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ সিভয়েসকে বলেন, ‘বিকাল থেকে চিড়িয়াখানায় দেখা গেছে পর্যটকদের ভিড়। গরমে তীব্রতা কম থাকলে আরো বেশি সংখ্যক পর্ষটকদের সমাগম বাড়বে। তাছাড়া ঈদকে ঘিরে সাজানো সম্পূর্ণ চিড়িয়াখানা। সংযোজন হয়েছে নতুন পশুপাখির।
এদিকে ঈদকে ঘিরে চিড়িয়াখানার পাশেই নগরের কনকর্ড ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড সেজেছে নতুন সাজে। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। কনকর্ড ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কের ডেপুটি ম্যানেজার (মার্কেটিং) বিশ্বজিৎ ঘোষ সিভয়েসকে বলেন, ‘গত বছর ঈদের ছুটিতে ফয়েস লেক দর্শনার্থী ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। মোট ১০ দিনে ৫৫ হাজারের মতো দর্শনার্থী প্রবেশ করেছিল। এ বছর এ সংখ্যা ডাবল হবে বলে আমি আশা করি। আজকে বিকাল থেকে মানুষের ভিড় বাড়তে পারে।
ওদিকে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। বিকাল থেকে এখানে সব বয়সী মানুষের ভিড় জমেছে। সাগরের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি কেউ কেউ স্পিড বোটে সমুদ্রে বেড়াতেও দেখা গেছে।
এ ছাড়া নগরের শাহ আমানত বিমানবন্দর, কর্ণফুলী নদীর পাড় নেভাল, আনোয়ারা পার্ক সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা সারা দিন দর্শনার্থীদের আনাগোনায় মুখর ছিল।