ইসি গঠনে ছয় সদস্যের কমিটি ঘোষণা

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে সার্চ কমিটির অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, পিএসসির ((সরকারি কর্মকমিশনের)) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, মহাহিসাব-নিরীক্ষক মুসলিম চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন।

এদের মধ্যে বিশিষ্ট নাগরিক হিসেবে আনোয়ারা সৈয়দ হক ও মুহাম্মদ ছহুল হোসাইনকে মনোনয়ন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। এর আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে সার্চ কমিটি। এ লক্ষ্যে সংসদের চলতি অধিবেশনেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন-২০২২ পাস হয়।

অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনারদের প্রতি পদের জন্য ২ জন করে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে। এ ১০ জনের মধ্য থেকে সিইসিসহ পাঁচজনকে দিয়ে ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।

স্বাধীনতার পর এবারই প্রথমবারের মতো আইনানুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। এ জন্য কিছুদিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সম্মতির পর গত রোববার বিলটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ এটি আইনে পরিণত হয়।

সদ্য পাস হওয়া আইন অনুযায়ী, এই কাজের জন্য সার্চ কমিটির হাতে থাকছে ১৫ দিন।

আইন অনুয়ায়ী এই সার্চ কমিটির কাজ হচ্ছে, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করা। আইনে বেঁধে দেয়া যোগ্যতা, অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top