করোনা পরীক্ষার র্যাপিড এন্টিজেন্ট টেস্ট কিট আমদানিতে তৈরি হয়েছে শুল্ক জটিলতা। প্রায় সব ধরনের সুরক্ষাসামগ্রী আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হলেও এন্টিজেন্ট টেস্ট কিটে তা নেই। ফলে পণ্যটি আমদানিতে দিতে হচ্ছে ৩২ শতাংশ শুল্ক। শুল্ক-জটিলতার কারণে কিটের সংকট তৈরির আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা।
করোনা পরীক্ষায় সহজ উপায় র্যাপিড এন্টিজেন্ট টেস্ট। এতে ফল পেতে সময় লাগে সবচেয়ে কম। এক ধরনের কিটে লালা বা নাক থেকে নেয়া নমুনা যুক্ত করে মানবদেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। তবে এই কিট দেশে তৈরি হয় না। আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে।
সম্প্রতি পাঁচ লাখ কিট কেনার জন্য দরপত্র দেয় সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধাগার সিএমএসডি। এতে কাজ পায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পূর্বে অনেকেই শুল্ক সুবিধায় এই কিট এনেছেন। সে অনুযায়ী তারা টেন্ডারে দর দেন শুল্কমুক্ত সুবিধা মাথায় রেখে। কিন্তু ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে কিট খালাস করতে ৩২ শতাংশ শুল্ক দিতে হয় তাদের।
হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর মো. সাদিকুজ্জামান জানিয়েছেন, তারা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গতবছর কিট আমদানি করেছেন এবং ক্রেতাদের কাছেও সেটা তারা নির্ধারিত মূল্যেই পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকা কাস্টম হাউস তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, কিটে এখন আর শুল্কমুক্ত সুবিধা নেই। ফলে কোম্পানিটির কাছে ৭০ লাখ টাকা শুল্ক দাবি করা হয় বলে জানান মো. সাদিকুজ্জামান। একইভাবে কাস্টম হাউস আরো অনেক আমদানিকারকের কাছে শুল্ক আদায় করে বলে দাবি এই প্রতিষ্ঠানটির।
এদিকে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনার দুই ধরনের টেস্ট কিটে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে গত বছর আদেশ জারি করে এনবিআর। তবে এন্টিজেন্ট টেস্ট কিটে সেই সুবিধা নেই। শুরুতে আমদানিকারকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কিট শুল্কমুক্ত করা হয়। পরে যাচাই করতে গিয়ে জানা যায়, এনবিআর এটিকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।
অন্যদিকে ক্ষতি পোষাতে আগে আনা কিটেও শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছেন আমদানিকারকরা