এইচ এম ই রিমন
( অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপর ট্রেনিং প্রাপ্ত)
অক্সিজেন সিলিন্ডারে অতি জরুরী জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন বিক্রি হচ্ছে। সিলিন্ডারে অতি উচ্চ চাপে অক্সিজেন রাখার কারণে একটু অসাবধানতার কারণে ভয়াবহ বিপদ ঘটতে পারে।
প্রথমত সিলিন্ডারটি হাইড্রোস্টেটিক টেস্ট করা আছে কিনা দেখতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে সিলিন্ডারটি উচ্চ চাপ সহ্য করতে পারবে কিনা আমাদের জানতে হবে, যদিও জরুরী মুহুর্তে এটি দেখার সময় পাওয়া যাবে না। তবে বোতলটি দেখতে একটু নতুন মনে হলে কিছুটা নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এটি নিরাপদ।
তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারে আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে অন্যথা এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
১) অক্সিজেন সিলিন্ডারের আশেপাশে ভূলেও সিগারেট নিয়ে যাওয়া যাবে না।
২) সিলিন্ডারের পাশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না, এটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।
৩) হাইড্রোকার্বন, ভেসলিন কিংবা যেকোন প্রকার ময়লা যুক্ত হাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার খোলা যাবে না। হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
হাতে নানারকম ময়লা থাকলে অক্সিজেনের সাথে মিলে আগুন ধরতে পারে।
৪) অক্সিজেন সিলিন্ডার খুব আস্তে আস্তে খুলতে হবে। দুইবার ঘুরিয়ে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আবার দুই টার্ণ ঘুরাইতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে সিলিন্ডারের বোতল খুলতে হবে। অন্যথা খুব গরম হয়ে বিস্ফোরণ হতে পারে। কোনমতে তাড়াহুড়ো করে সিলিন্ডার খোলা ওপেন করা যাবে না।
৫) অক্সিজেন সিলিন্ডার বহন করার সময় খুব বেশি নড়াচড়া করা যাবে না, খেয়াল রাখতে হবে হাত থেকে সিলিন্ডার যেন পড়ে না যায়।
৬) সর্বোপরি, রোগীকে অক্সিজেন দেয়ার সময় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন কড়াভাবে মানতে হবে। প্রত্যেকের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা সমান না। অতিরিক্ত অক্সিজেন নিলে শরীরের ভেতরে তাপ বেড়ে যেতে পারে কিংবা অক্সিজেনের পরিমাণ কম হলে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
সূত্র: ঢাকাটাইমস নিউজ