বিশ্ব কিডনি দিবস আজ

 

বিশ্ব কিডনি দিবস আজ

আজ ৯ মার্চ, বিশ্ব কিডনি দিবস । বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এই দিবসটি পালিত হয়। 

বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সবার জন্য সুস্থ কিডনি’।

কিডনি দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

প্রসঙ্গত, দেশে দুই কোটির বেশি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। তাদের মধ্যে বছরে কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ছে ৪০ হাজার মানুষের। এ ছাড়া আকস্মিক কিডনি বিকলের শিকার হচ্ছেন আরও ১৫-২০ হাজার মানুষ। কিডনি বিকল এসব রোগীর বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হলো কিডনি প্রতিস্থাপন অথবা কিডনি ডায়ালাইসিস।


কিডনি রোগের ঝুঁকি
কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে যেমন কিডনিতে আঘাত, ক্রনিক কিডনি রোগ, রেনাল স্টোনস, নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম, মূত্রনালীর সংক্রমণ, উত্তরাধিকারী/জন্মগত রোগ। নিয়মিত ধূমপানের আসক্তিযুক্ত ব্যক্তিরা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলত্বজনিত এবং কিডনির রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি।

প্রায়শই প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ দৃশ্যমান হয় না কারণ কিডনি অত্যন্ত অভিযোজিত। পরবর্তী পর্যায়ে, কিডনিতে ক্ষতি যখন অপরিবর্তনীয় হয়ে যায় তখন রোগীরাও বেশ কয়েকটি লক্ষণ অনুভব করেন যেমন –

১. গোড়ালি এবং পা ফোলা

২. ওজন হ্রাস

৩. প্রস্রাবে রক্ত

৪. বুকে ব্যথা বেড়ে যাওয়া

৫. ত্বকে চুলকানি

৬. প্রস্রাবের অসুবিধা

৭. পরিবর্তিত প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি

যদি কেউ এমন কোনও লক্ষণ অনুভব করেন যা কিডনির রোগের ইঙ্গিত দেয় তবে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

কিডনি রোগের প্রতিকার

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নিরাময়ে বেশ কয়েকটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলো হলো-

১. নিয়মিত অনুশীলন

২. লবণের পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ বজায় রাখা

৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ

৪. ধূমপান এড়িয়ে চলা

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করা


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *