তিল ধারণের ঠাঁই নেই ব্যসকুণ্ডে, পুণ্যতা লাভে হিন্দুধর্মালম্বীদের উপছে পড়া ভিড়

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুন্ড।।

শুরু হয়েছে ভারত উপমহাদেশের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শিব চর্তুদশী পূজা। মেলার শুরুতে পাহাড়কে ঘিরে নেমেছে পূর্ণার্থীদের ঢল। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের সমাগমে লোকে-লোকারন্য হয়ে উঠেছে বাজার-ঘাট। পৌরসদর বাজার হতে আশ-পাশের প্রায় এক কিলো মিটার পথে একতাবদ্ধ হয়ে বিরাজমান রয়েছে শিশু-কিশোর,যুবক-যুবতী ও বয়োবৃদ্ধদরা। এতোটুকু জায়গা নেই স্বস্থির নিশ্বাস নেয়ার। এরপরও মেঠো পথ হয়ে চন্দনাথ ধামে পৌছাটা পূর্ণার্থীদের একমাত্র লক্ষ্য। শত কষ্টকে মাথায় দিনভর সকলে পাহাড়ের উচ্চ পাড়ি জমাচ্ছে শিব দর্শনে। সাড়ে তিন কিলোমিটার উচু পাহাড়ের শিখরে পৌছতে পারলে পূন্যতা লাভ করাটা পূজার স্বার্থকতা। যে কারনে শত বাঁধা-কষ্টাকে মাথায় নিয়ে চন্দ্রনাথ ধামে অবতরন করছে লক্ষ পূর্ণার্থী। শিব দর্শনে উঠা র্দুসাধ্য হলেও পূর্ণতা লাভ ছাড়া পিছিয়ে যাচ্ছে না কেউ।
দেশী-বিদেশী পূর্ণার্থীরা বলেন,‘ শিব দর্শন করতে না পারলে পূর্ণতা লাভ করা সম্ভব নয়। তাই কষ্টা হলেও পৌছতে হবে গন্তব্যে। প্রতি বছর চন্দ্রনাথ ধামে প্রায় ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটে থাকে। কিন্তু তীর্থ যাত্রীদের সুবিধা প্রদানে নেয়া হয় না যথাযথ ব্যবস্থা। ফলে শিব দর্শনে পাহাড়ের উপরে ঝুকি নিয়ে উঠতে গিয়ে নানা দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় বলে জানান তারা।
নানা সমস্যাকে মোকাবেলা করে শিব দর্শনে পাহাড়ের আকা-বাকা পথ বেয়ে উপরে উঠছে পূর্ণার্থীরা। দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে উপরে উঠার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছে বয়োবৃদ্ধ ও জটিল রোগের আক্রান্ত দর্শনার্থীরা। এ সময় ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শরীরে চলাচলে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতি নিয়ত। তবে মেলা কমিটির সার্বিক সহযোগীতায় দর্শনার্থীরা ফিরে পাচ্ছে পক্ষে হারিয়ে যাওয়া পূর্নাথীকে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান স্ব-উদ্যোগী পানীয়-জ¦ল ও প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রেখে চলছে সহায়ক ভূমিকা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় পৌরসদরের কলেজ রুট হয়ে চন্দ্রনাথ ধামের পথে ছিল না অপ্রীতিকর ঘটনা। যাত্রী নিরাপত্তা প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তায় সার্বক্ষনিকভাবে কাজ করছে র‌্যাব-পুলিশ, আনসার ও ভলন্টিয়ার। চলাচলের পথ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে পৌরসদর এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে যানবাহন চলাচল। আগামী কাল তিথির শেষ হলে মেলা কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে জানান মেলা কমিটির সাধারন সম্পাতক পলাশ চৌধুরী।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *