করোনা ভাইরাসের প্রভাবে খামারীদের উত্থান পতন

মোঃ জয়নাল আবেদীন সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

মহামারী করোনা ভাইরাসে নাজেহাল দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে লক ডাউন তাদের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।সেই ধারাবাহিকতায় দেশের পোল্ট্রি খামারীদের দিনকাল ভালো কাটছেনা। বাজার ব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বাণিজ্য মন্দা কাটিয়ে উঠতে তাদের বেশ সময় লেগে যেতে পারে।

মুরগীর দাম উত্থান পতনে চলছে খামারীদের দৈনন্দিন জীবন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে করোনা বাঁধাগ্রস্ত করায় খামারীরা পড়েছে চরম বিপাকে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলার মতো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে খামারীদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক প্রকৃতির।

জানা অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া মুরগীর খাদ্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেলে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে যায় তখন।

এক কেজি মুরগির মুল্য কখনো ১৬০ আবার কখনো মূল্য কমে ১১৫/১৩০ হয়ে যায়। অনেক সময় লাভের মুখ দেখার কথা থাকলেও হঠাৎ বাজার পরিস্থিতির কারণে গুনতে হচ্ছে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ। এমতাবস্থায় খামারীদের পাশে কেউ নেই। অনেক খামারী রয়েছে যারা ঋণ নিয়ে খামার প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন।একের পর এক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব খামারীরা।ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন।

খামারীদের এমন পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে দেশের মুরগী খামারীদের কতটা সংকটে রয়েছেন। এবং এই খাতের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত অনেক বিশেষজ্ঞ। এদের এই করুন পরিণতি দেখে নতুন উদ্যোক্তাদের চেহারায় দেখা দিয়েছে হতাশার ছাপ।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে হোটেল রেস্তোরা গুলো বন্ধ থাকায় পথে বসতে চলেছেন অনেক খামারী। অনেকে মূলধন হারিয়ে এই পথ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রান্তিক খামারীরা মুরগী, ডিম বিক্রি করতে না পারায় বিরাট লোকসান হয়েছে বলে জানা যায়। বাজারজাতকরণে শৃঙ্খলা ফিরে আসলে হয়তো এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ সুবিধা হবে। লোকসানের কারণে অনেক খামারী এই সময়ে ফ্রি মুরগী নিতেও ভয় পাচ্ছে।

সরকারী প্রণোদনা পেলে এসব প্রান্তিক খামারীদের মুখে হাঁসি ফুটবে বলে ধারণা অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের।তাই খামারীরা সরকারী বেসরকারী সংস্থা গুলোর কাছে আবেদন জানান , যাতে এই পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে তারা এগিয়ে আসেন।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *