করোনাকালীন সময়ে বড় সুখবর পেতে যাচ্ছেন সীতাকুণ্ডবাসী

আদ্বান অর্চিশ, সীতাকুন্ড বার্তা;

সারা বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে করোনা চিকিৎসায়, সেখানে সীমিত স্বাস্থ্য সেবা সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশী ডাক্তারাও পিছিয়ে নেই। স্বাস্থ্যখাত ছাড়াও এই করোনা যুদ্ধে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সর্বস্তরের প্রশাসন। করোনা মোকাবেলায় নানাভাবে এগিয়ে আসছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। এমন একটি উদাহরণ সীতাকুণ্ড পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলমের পুত্র ইউকে প্রবাসী তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মাসুম সামজাদ। সীতাকুণ্ডের সন্তান ডাক্তার রেজাউল করিম, ডাক্তার আশুতোষ নাথ ও ডাক্তার কাউসার আহমেদ এর ভূমিকাও অনবদ্য।

করোনাকালীন সময়ে অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব সীতাকুন্ড বার্তায় আড্ডায় যোগ দেন, তারই ধারাবাহিকতায় ২৭ মে এ আড্ডায় যোগ দেন সীতাকুণ্ডের সন্তান তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মাসুম সামজাদ ও সীতাকুন্ড ১ নং সৈয়দপুর ইউনিয়ন, কেদারখীলের গর্ব ডাক্তার রেজাউল করিম।

কাজের সূত্রে লন্ডন থাকলেও সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র পুত্র জনাব মাসুম সামজাদের মন পড়ে থাকে সীতাকুণ্ডেই। ফলে করোনা সময়ের শুরু থেকেই ইউকে তে বসেই চলতে থাকে তার স্বপ্নের সীতাকুন্ডকে রক্ষার নানা প্রচেষ্টা। জনসচেতনতায় তিনি রাখেন বিরাট ভূমিকা এবং অন্যদিকে রেজাউল করিম ডাক্তারী পাশ করে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ট্রেনিং গ্রহণ করেন বারডেম থেকে এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার এর অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকার বেশিরভাগ বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউ এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করেন। সীতাকুন্ড বার্তার লাইভ আড্ডায় যুক্ত হয়ে জনাব মাসুম সামজাদের প্রশ্নোত্তরে ডাক্তার রেজাউল করিম তার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। ডাক্তার রেজাউল করিম শুনান নিজের করোনা আক্রান্ত থেকে বিজয়ের গল্প। এই আড্ডায় দর্শক-শ্রোতাদের অনেক প্রশ্নের সমাধান হয়। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের কথা উল্লেখ থাকে, এই ধরনের ওষুধের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ নিজে নিজে সেবন করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তিনি আরো জানান কোন রোগের জন্য কোন ওষুধ প্রযোজ্য তা একমাত্র ডাক্তারই নির্ধারণ করবেন।

আইসিটি বিশেষজ্ঞ মাসুম সামজাদের এক প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার রেজাউল করিম জানান, ওষুধের পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ও গ্রহণ করতে হবে এবং মনে সাহস রাখতে হবে। আদা ও লেবু চা পান করতে হবে। এভাবে সীতাকুণ্ড বার্তার লাইভ আড্ডা জমে ওঠে। আড্ডার এক পর্যায়ে কথা উঠে আসে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে। বর্তমান বিশ্বে একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা হচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্লাজমা দান। ডাক্তার রেজাউল করিম জানান, প্লাজমা হচ্ছে শরীরের তরল জাতীয় পদার্থ। এটি দান করলে শরীরে ২-৩ দিনের মধ্যে তা আবার পূরণ হয়ে যায়। করোনা বিজয়ীদের প্লাজমা দানের মাধ্যমে বাঁচবে অনেক করোনা আক্রান্তের প্রাণ। একজন করোনা বিজয়ী ব্যক্তি দুই থেকে তিন জন ব্যক্তিকে প্লাজমা দান করতে পারেন।

আড্ডার শেষ পর্যায়ে তিনি উপদেশ দেন, সীতাকুণ্ডে যারা করোনা বিজয়ী তাদের যদি ব্লাড গ্রুপ সংগ্রহ করা যায় এবং তাদের প্লাজমা ডোনেট গ্রুপের সদস্য করা গেলে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। আড্ডাতেই জনাব মাসুম সামজাদ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন সীতাকুণ্ডে প্লাজমা ডোনেট গ্রুপ গঠনের, যা বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এলাকাভিত্তিক উদ্যোগ।