উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে আলম- সফি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উৎসব

 

এম কে মনির, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

সীতাকুণ্ড পৌরসভার স্বনামধন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পশ্চিম মহাদেবপুর আলম-সফি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন।বিদ্যালয়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।কৌশল বিনিময়,আড্ডা, স্মৃতিচারণ,গান-নাচ আর নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে আনন্দঘন পরিবেশে পালন করা হচ্ছে রজতজয়ন্তী উৎসব।দীর্ঘ দিন পর বন্ধুদের ফিরে পেয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েন সকলে।গতকাল রাত থেকেই রজতজয়ন্তীকে সাজাতে বৈচিত্র্যময় আয়োজনে ব্যস্ত ছিল রজতজয়ন্তী উদযাপন পরিষদ।উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী।এ উপলক্ষে আজ সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য র্্যালী বের করা হয়।র্্যালীটি বিদ্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করে সীতাকুণ্ড বাজার পদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয়ে ফিরে আসে।
র্্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূইয়্যা।র্্যালীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক পৌরমেয়র বীরমুক্তিযোদ্বা নায়েক অবঃশফিউল আলম,প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব কামাল উল্লাহ।আরে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃজাহাঙ্গীর আলম ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দ।
রজতজয়ন্তী উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে থাকছে দুপুরের মেজবানি, বিকালে বন্ধুদের মিলনমেলা,আলোচনা সভা,সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রজতজয়ন্তি উৎসবে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মোঃতৌহিদুল ইসলাম রাহাত তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন দীর্ঘ ১০ বছর আমরা বন্ধুদের ফিরে পেয়েছি। আজ মনে হচ্ছে আমরা আজও এ বিদ্যালয়ের ছাত্র। আমাদের সেই সোনালী অতিতকে আজ আমরা দারুণভাবে উপলব্ধি করছি।ইচ্ছে করছে ছোট বেলার মতো মাথায় বই নিয়ে হাফ প্যান্ট পরে আবারও স্কুলে ফিরে আসি।
বিদ্যালয়ের আরেক প্রাক্তন ছাত্র তানভির আবেগে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন আমাদের ছেলেবেলা ছিল আনন্দময়।শৈশবের সময়টা এখানে কেটেছে। এ স্কুলকে কখনো ভুলার নয়।জীবনের তাগিদে আজ একেক জন একেক জায়গায়।কিন্তুু শৈশবের সেই প্রাণপ্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে কেউ কার্পণ্য করেনি।স্মৃতিময় দিনগুলিকে আমরা আজ স্মরণ করছি বেশ জমিয়ে।

রজতজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সভাপতি ফজলে এলাহী পায়েল বলেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলা ঘটাতে চেষ্টা ত্রুটি রাখিনি।গত ৬ মাস যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাচের সাথে যোগাযোগ করে আসছি।দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমে সবাইকে একত্রিত করতে পেরে সত্যিই আনন্দিত।এ আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করা বলা বাহুল্য।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃজাহাঙ্গীর আলম বলেন ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়কে ভালোবেসে ২৫ বছর উদযাপন করছে।তাদের সেই আনন্দে আমরাও সামিল হয়েছি।পুরোনো ছাত্রদের দেখতে পেয়ে আজ আমরা আনন্দিত।এসময় তিনি আবেগে কান্নার স্বরে বলেন তারা কতো বড় হয়ে গেছে। জানিনা তাদের কি শিক্ষা দিতে পেরেছি।তবে শিক্ষক হিসেবে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।তাদেরকে খুব ভালোবাসি।এ হৃদয়ের মণিকোঠায় লুকিয়ে রেখেছি তাদের জন্য এক কৌঠা ভালোবাসা।আজ তারই অভিপ্রায়।

শিক্ষক/শিক্ষিকা মন্ডলী,বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীসহ দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজ হবে উৎসবের মূল মিলনমেলা। আর সকলে একসাথে একদিন দুপুরের খাওয়াকে স্মরণীয় করে রাখতে চান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *