৪০টি অবৈধ কনটেনার জব্দ সীতাকুণ্ডে

সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীর একটি ডিপোতে থাকা ৪০টি অবৈধ কনটেনার জব্দ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের একটি টিম। এ সময় ফৌজদারহাট সার্কেলের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বুধবার বিকেলে ভাটিয়ারীর বানুরবাজার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মেসার্স ফাইভ স্টার ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চালানো হয়।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয় ফৌজদারহাট সার্কেলের এক কর্মকর্তার দাবি, জব্দ করা কনটেনারের মধ্যে ৬টি রহিম বক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে চুরি করা। এ ডিপোটিতে অবৈধভাবে কনটেনার বেচা-কেনা হয়ে থাকে। কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয় ফৌজদারহাট অঞ্চলের সুপার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, রহিম বক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ৬টি কনটেনার চুরি করেছেন ফাইভ স্টার ট্রেডিংয়ের মালিক মামুন ও আনিছ। তারা ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুবাদে এই চুরির আশ্রয় নিয়েছিলেন। কনটেনারগুলো নিয়ে আসার পর তারা নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে ওখানে রাখেন। তিনি আরও বলেন, অভিযান চলাকালে তারা কেনার কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি। কনটেনারগুলো বিক্রি বা কাটতে হলে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে ঘোষণা দিয়ে কাটতে হয়। এমন ঘোষণাপত্রের কোনো ডকুমেন্টও তাদের কাছে ছিলো না। কনটেনারগুলো বন্ড সুবিধায় বাংলাদেশে আসে বলে জানান তিনি।

মেসার্স ফাইভ স্টার ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মামুনর রশীদ বলেন, কনটেনারগুলো আমরা স্ক্র্যাপ হিসেবে কিনে নিয়েছি। কাস্টমস, এঙাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের ডকুমেন্ট দিয়েছি।
ভাটিয়ারীর চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, তারা অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। তাদের কাছে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ট্রেড লাইসেন্সও নেই।
ডিপোর কর্মকর্তা শওকত হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেলে ২টা পর্যন্ত কাস্টমস, এঙাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তারা ডিপোতে এসে কোনো পরিচয় না দিয়ে ফাইল কেবিনেট ভাংচুর করে অফিসের ফাইলপত্র নিয়ে নেয়। পরে ৪০টি কনটেনার জব্দ করে তা মার্ক করে রেখে যায়।



Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *