বাকশালের মতই গত ১১ বছর একদলীয় শাসন চলেছে: মওদুদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গড়া ‘বাকশাল’-এর মতোই গত ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ এক দলীয় শাসন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, আজকে দেশে যা চলছে, তার জন্য মূলত দায়ী ১৯৭৫ সালের একদলীয় শাসন ‘বাকশাল’। ১৯৭৫ সালের একদলীয় শাসনের চিন্তা-চেতনা ও ধ্যান-ধারণার প্রতিফলন। বাকশাল গঠন করে স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবকিছু তারা ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল। বাকশালের মতোই গত ১১ বছর ধরে দেশে এক দলীয় শাসন চলছে।

শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ২৫ জানুয়ারি ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠার দিন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা ১৯৭২ সালের সংবিধানকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে আওয়ামী লীগ দেশ এক দলীয়, এক নায়কত্ব, কর্তৃত্ববাদী এবং ফ্যাসিবাদী একটি সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল। এটা ছিল জাতির সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাস ঘাতকতা। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংকটের জন্য দায়ী হলো ১৯৭৫ সালের বাকশাল।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু ও শওকত মাহমুদ।

আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসে সর্তক বেনাপোল চেকপোস্ট

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর টানা ২৪ বছর এ দেশের কোটি কোটি মানুষ সংগ্রাম করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে, জুলম-অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছে। অবশেষে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার জন্য রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বার জীবন দেয়। সেদিন থেকে বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু হয়। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ১৯৫৪ সালে ঐক্যবদ্ধ বাঙালিরা তিন জাতীয় নেতা শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা সম্বলিত ২১ দফা দাবির পক্ষে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীকে পরাজিত করে বিরাট বিজয় অর্জন করে। এরপর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ৬৮ সালে আগরতলা মামলার মধ্য দিয়ে ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান— এ সবই ছিল সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলন।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *