সাবমেরিন ক্যাবল কাটা পড়ায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা সংলগ্ন আলীপুর এলাকায় কাটা পড়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ১২ ঘণ্টা ধরে মেরামতের পর ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হয়েছে।

মেরামত কাজ শেষে সোমবার রাত ১২টা ১৭ মিনিটে ইন্টারনেট সংযোগ পুনস্থাপন করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) কর্তৃপক্ষ। বিএসসিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘ক্যাবল কাটা পড়ার পরপরই রোববার দুপুর ১২টা থেকে স্থানীয় প্রকৌশলীরা কাজ শুরু করেন এবং পরে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে রাত ১২টা অবধি ক্যাবল মেরামত শেষ করেন।’

এ কাজটি খুবই সূক্ষ্ম এবং সময় নিয়ে করতে হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এরকম পরিস্থিতিতে এর আগে আমাদের পড়তে হয়নি। তারপরও আমরা কাজটি সফলতার সঙ্গে শেষ করতে পেরেছি। এতে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। গ্রাহকদের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।’

গতকাল রোববার রাতে সাবমেরিন ক্যাবল জোড়া দেওয়া হয়।

এ ক্যাবল কাটার অভিযোগে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বাদী হয়ে রোববার রাতে মহিপুর থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি মামরা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলার আসামিদের মধ্যে ২ জনকে সোমবার সকালে আলীপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

এরা হলেন- হোসেন মোল্লা (৪০) ও আবুল হোসেন (৩৫)। হোসেন মোল্লা স্থানীয় লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লার ছোটভাই এবং আবুল হলেন হোসেন মোল্লার সহযোগী। মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

‘অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা সচেষ্ট আছি এবং যথাযথ তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’, বলেন ওসি।

উল্লেখ্য, লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লার নিয়োজিত শ্রমিকেরা সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনের পাশের একটি জমির চারদিকে বাঁধ দিচ্ছিলেন। মাটি কাটার যন্ত্র (এক্সাভেটর) দিয়ে মাটি কেটে তোলার সময় ভূগর্ভস্থ ক্যাবলটি কেটে ২০ ফুট ওপরে উঠে যায়। ফলে দেশজুড়ে গ্রাহকেরা ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যায় পড়েন।

সূত্র:  ডেইলি স্টার


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *