স্কুল পর্যায়ে বিভাগ তুলে দেওয়ার পরমার্শ প্রধানমন্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

নবম শ্রেণি থেকে স্কুল পর্যায়ের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞান-কলা-বাণিজ্য বিভাগের বিভাজন তুলে দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই সব বিষয়ে পড়ুক, তারপর যেখানে সে মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে সেটা করে নেবে। এসএসসির পর বিষয় ভিত্তিক বিভক্তি হলেই ভালো হয়।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৮’ বিতরণকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব বলেন।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে এ জন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সব সাবজেক্টই বিজ্ঞানভিত্তিক। সেটা ধীরে ধীরে চলেই এসেছে। বিজ্ঞানের বাইরে কিছু নেই।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ক্লাস নাইন থেকে কে কোন সাবজেক্টে যাবে সেটা ভাগ করে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়, এই ভাগটা থাকার কোনো দরকারই নাই। কারণ এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত সব সাবজেক্টই তারা পড়তে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এমনটা নেই, কারণ, বিজ্ঞান না পড়ার ফলে অনেক বিষয়েই শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। আর আমাদের দেশে ১৯৬৩ সালে আইয়ুব খান (পাকিস্তান আমলে) সরকারের সময় এটা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কওমি মাদ্রাসাকেও আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি এবং দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দিয়েছি। কারণ, তাদেরও আমরা সমন্বিত শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। একই ডিসিপ্লিনে নিয়ে আসতে চাই।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সর্বোচ্চ নম্বর /সিজিপিএ প্রাপ্তদের হাতে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক-২০১৮’ তুলে দেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে স্বর্ণ পদক বিতরণ করেন। যাদের মধ্যে ৮৪ ছাত্র এবং ছাত্রী ৮৮ জন। ২০১৭ সালে ১৬৩ জন শিক্ষাথী প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *