অশ্লীলতা ও তরুন প্রজন্মের কিছু ভুল ধারণা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

তরুণদের বদলে দেওয়া ও যৌন বিষয়ক সব ধরনের ভুল ধারণা দূর করে দেয় লস্ট মডেস্টি সাপোর্টিং টিম ফর সীতাকুণ্ড। বর্তমান যুব সমাজ মনের ভুলে কিংবা এই বিষয়ে না জানার কারণে আসক্ত হচ্ছে খারাপ দিকগুলোর দিকে। আড়ালে বা প্রকাশ্যে অশ্লীল ভিডিও দেখা নিয়মিত হস্তমৈথুন ও তাদের কাছে নিয়মিত। পর্নোগ্রাফি মানুষের স্বাভাবিক যৌন প্রবণতা নষ্ট
করে দেয়। পর্নোগ্রাফি যতো “কড়া” ধাঁচের হয়,
পর্ন আসক্ত দর্শকের ওপর সেটার প্রভাব ততো
তীব্র হয়। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্ন ভিডিওগুলোতে সহিসংতার ব্যাপক উপস্থিতির কারণে এখন পর্ন আসক্তদের মধ্যে ধর্ষন প্রবণতা
বৃদ্ধি পাচ্ছে।
.
এ কথাগুলোর সাথে স্বাভাবিক বিবেচনাবোধ সম্পন্ন।কারো দ্বিমত করার কথা না। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়।অর্থনীতিতে। আর যখন কোন সমীকরণে।অর্থনীতি ঢুকে পড়ে, সবচেয়ে সোজাসাপ্টা।বিষয়গুলোও চরম গোলমেলে হয়ে ওঠে।
গ্লোবাল পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রির সাথে শত শত
বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন যুক্ত। বছরে পর্ন ইন্ডাস্ট্রির
প্রফিট ১৫ বিলিয়ন ডলার। সে তুলনায় হলিউডের বাৎসরিক
প্রফিট? ১০ বিলিয়ন ডলার। এতো গেলো শুধু
ঘোষিত আয়ের হিসেব। পর্ন ইন্ডাস্ট্রির
লেনদেনের বড় একটা অংশ কখনো রিপোর্টেড
হয় না। সুতরাং এ ইন্ডাস্ট্রির প্রকৃত সাইযটা আরো বড়।
.
যখন কোন কিছুর সাথে এতো এতো টাকা জড়িত
থাকে, তখন সেটাকে ক্ষতিকর হিসাবে স্বীকার
করা, ঘোষণা দেয়া বেশ কঠিন হয়ে যায়। সহজ
সমীকরনে গোলমেলে অর্থনীতি ঢুকে
পড়ে। সোনার ডিম পাড়া রাজহাসকে রক্ষা করাটা রুটি-
রুজি আর পুঁজির প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। ফার্মাসিউটিক্যাল,
হোটেল ও ট্যুরিযম, ক্যাইবল ও স্যাটেলাইট
টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, ওয়াল স্ট্রিল, গ্লোবাল
সেক্স ট্র্যাফিকিং, সেক্সোলজি ও সাইকোলজি –
এসবগুলো ইন্ডাস্ট্রি বিভিন্ন ভাবে পর্ন ইন্ডাস্ট্রির
মাধ্যমে লাভবান হয়।
.
সুতরাং ব্যক্তি ও সমাজের ওপর পর্নের ক্ষতিকরতার কথা আড়াল করে পর্নকে নির্দোষ ও উপকারী বিনোদন প্রমাণ করতে তাই ধরাবাঁধা কু-যুক্তি আর অপবিজ্ঞান ব্যবহার করে ব্যাপক প্রপাগ্যান্ডা চালানো
হয়। । আর পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুনের ফাঁদে
আটকে পড়া অনেকেই অন্ধের মতো, এ ফাঁকা
বুলিগুলো ক্রমাগত আওড়ে যায়।
আপনাদের জন্য সীতাকুন্ড পাবলিক লাইব্রেরীতে Lost modesty supporting team for sitakund ” পক্ষ থেকে দুইটি নতুন বইয়ের ৪ কপি রাখা হয়েছে। আপনারা আপনাদের সময় সুযোগ করে পড়ে নিবেন। আশাকরি এই দুইটি বই পড়ার মাধ্যমে আপনার বিবেক,বুদ্ধিকে নাড়া দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের প্রেরণা যোগাবে। আমরা এই ঘুণেধরা সমাজের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা।
পাবলিক লাইব্রেরীতে  উপহার দেয়া বইয়ের তালিকা:
১)মুক্ত বাতাসের খোঁজে -৪ কপি।
২)চিন্তাপরাধ-২ কপি।
৩)মানসাঙ্ক-২ কপি।
৪)নীল ডায়েরীর গল্প (শীঘ্রই যোগ হচ্ছে )
৫)ঘুরে দাঁড়াও(শীঘ্রই যোগ হচ্ছে


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *