এবার সোলায়মানির সহযোগীকে গুলি করে হত্যা

মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাশেম সোলায়মানি নিহত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত দেশটির অভিজাত ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আরেক শীর্ষ কমান্ডার আবদুল হোসেইন মোজাদ্দামিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বুধবার ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশের দারখোভিন শহরে নিজ বাড়ির সামনে অজ্ঞাত দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন মোজাদ্দামি। বন্দুকধারীদের ছোড়া গুলি মাথায় লাগার কারণে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

মোজাদ্দামি আইআরজিসির অঙ্গ সংগঠন আধা সামরিক বাহিনী বাসিজ ফোর্সের ডার্কহোয়েন শহরের প্রধান এবং প্রয়াত জেনারেল কাসেম সোলায়মানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন বলে জানা যায়। মূলত দেশের যেকোন অভ্যন্তরীণ আন্দোলন দমাতে বাসিজ ফোর্সকে ব্যবহার করা হয়।

ইরানের রাষ্ট্রয়ত্ত বার্তা সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন মুখোশধারী দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি রাইফেল হাতে মোটসাইকেলে করে এসে মোজাদ্দামিকে তার বাড়ির সামনে ঘিরে ফেলে। এরপর তার মাথায় চারটি গুলি করে পালিয়ে যায়। মাথায় গুলি লাগার কারণে মোজাদ্দামি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে এ ঘটনার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেন নি।

দেশটির আরো কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, মোজাদ্দমি হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে ঠিক কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত কুদস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলায়মানি হত্যা করা হয়। মার্কিন বাহিনীর এ হামলায় সোলায়মানি ছাড়াও ইরাকের মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহানদিসসহ অন্তত ৫ জন নিহত  হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এ হামলা চালানো হয় বলে নিশ্চিত করে পেন্টাগন।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *