শেয়ারবাজারে ধস ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি সংসদে

শেয়ারবাজারে ধস ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ। গতকাল বুধবার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

ফিরোজ রশীদ বলেন, দেশ চলে তিন নীতিতে। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং দুর্নীতিতে। শেয়ার মার্কেট মাটিতে শুয়ে গেছে, বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, শেয়ারবাজার কেন এরকম হলো। অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত সুদক্ষ। শেয়ারবাজার নিয়ে চিন্তাও করেন, ওনার একটা গভীর চিন্তাভাবনাও আছে। এই মার্কেটের কোথায় কী হচ্ছে এর সম্মুখ ধারণা ওনার আছে। কারণগুলো আমাদের সবার জানা। বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দুর্বল পচা কোম্পানিগুলো লিস্ট করে বাজারে ছেড়ে দেয়। আর বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়ে। আমরা বলেছিলাম দুর্বল কোম্পানিগুলোকে যেন তালিকাভুক্ত না করে। আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি করেছিলাম। আজ পর্যন্ত কমিশন হয়নি। একটা লোককেও শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। বাজার থেকে মূলধন ৯৫ হাজার কোটি টাকা নেই।

আরও পড়ুন : দেশ দুর্বৃত্তদের হাতে চলে গেছে : মির্জা ফখরুল

বিএসইসির দিকে অভিযোগ তুলে ফিরোজ রশীদ বলেন, শেয়ার মার্কেটে যারা ৩০ বছর ধরে যেত তাদের পায়ে জুতা নেই। তারা বলছে আমাদের দেখার কি কেউ নেই। কমিশন জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছেন। শুধু লিস্টিং দেওয়াই তাদের কাজ। পচা কোম্পানি এনে প্রতিদিন নিঃস্ব করে দেওয়া হচ্ছে, কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, প্রশান্ত হালদার নামে একটা লোক ননব্যাংকিং কিছু প্রতিষ্ঠান করে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। উনি পালিয়ে গেছে। কার জবাব কে দেবে। এ জন্য অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, প্রধানমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে শেয়ার মার্কেট আবার ফিরে আসতে পারে। না হলে এখান থেকে ফিরে আসার উপায় দেখি না।

ফিরোজ রশীদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, মন্ত্রীরা প্রশ্নোত্তর দেন দেশে কোনো বিপর্যয় দেখতে পান না, দেশে কোনো সংকট নেই। এ সমস্ত উত্তর যখন আসে হতভম্ব হয়ে যাই, বিস্মিত হয়ে যাই। গত এক সপ্তাহ যাবত্ পুঁজিবাজারের জন্য মানুষ রাস্তায় শুয়ে পড়েছে, তাদের আজ কাজ নেই, বিপর্যস্ত লাখ লাখ পরিবার। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নেই। আমরা মুজিববর্ষ উদ্যাপন করছি, এত প্রবৃদ্ধি, এত উন্নতি, আমরা চারদিকে বিশাল বিশাল স্থাপনা বানাচ্ছি। অথচ সাধারণ মানুষের দুর্দশা দেখার কেউ নেই।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *